সব কিছু দেখতে পারবে-বলার শক্তি নাই

সব কিছু দেখতে পারবে-বলার শক্তি নাই



যখন সাধারণ প্যালেস্টাইনিদের উপর ঈহুদী সন্ত্রাসের কথা বলা হয় তখন আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর বিশিষ্ট ভদ্রসন্তানরা বলে থাকেন - ঈহুদীদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার কি দরকার ! আমাদের কে আমাদের সমস্যার কথা ভাবতে হবে ।আবার সেই ভদ্রসন্তানদের বড় উদগ্রীব হতে দেখা যায় যখন তারা শোনে আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের রাস্তায় কোনো গাড়ি চালক কাউকে পিষে দিয়েছে । সেটা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক না কেন ।
ব্যাপারটা এমন, আকাশ এসে সজীব কে বললো-- জানো সজীব আজ আমেরিকাতে এক গাড়িচালক রাস্তার এক কুকুর কে পিষে দিয়েছে । কুকুর তো সঙ্গে সঙ্গেই শেষ ।
সজীব - বড় আগ্রহের সাথে , তাইনাকি.. তাইনাকি.. কি করে হলো ? চালকের নাম কি ?
আকাশ -- কুকুরটির কোনো দোষ ছিলোনা । রাস্তার একদম ধার দিয়ে যাচ্ছিল । যানা গেছে গাড়ির চালকের নাম মহঃ আমির ।
সজীব -- এই দেখলে তো..., আমি তখনি ভেবে নিয়েছিলাম এ কোনো সন্ত্রাসী হামলা হবে ।
এ প্রকার খবর সোনার সঙ্গে সঙ্গে ঐসব ভদ্রসন্তানদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রড় প্রতিবাদী পুরুষ রূপে দেখা যায় । তাদের মানবতা উপছে পড়ে রাস্তার কুকুরের কাছে পৌছে যায় । কিন্তু ঐসব ভদ্রসন্তানদের কোনো প্রকার উদগ্রীব হতে দেখা যায়না যখন ঈহুদী সাম্রাজ্যবাদীরা কাতারে কাতারে প্যালেস্টাইনি নিরীহ শিশু, মহিলা, পুরুষ মুসলিমদেরকে অকাতরে হত্যা করে, তাদের জন্মভূমি দখল করে, লুট করে, তাদের বিতাড়িত করে ।
আসল ব্যাপার হলো ঐসব ভদ্রসন্তান গুলো এক্ষেত্রে ঈহুদী সাম্রাজ্যবাদ, ঈহুদী সন্ত্রাসবাদ কে পুরোপুরি সমর্থন করে । কিন্তু তারা মানসম্মানের খাতিরে মুখফুটে বলতে পারেনা । তাই ভদ্রসন্তানেরা ভদ্রসন্তানের মতোই পরিমার্জিত ভাষাই বলে - ' ঈহুদীদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার কি দরকার আমাদেরকে আমাদের সমস্যার কথা ভাবতে হবে।'
বাবুসাহেবদের মানবতারো জাত ধর্ম আছে । সেই মানবতা কোথাও কোথাও সত্যি সত্যিই অতি মানবিক চেহারাই পরিস্ফুটিত হয় আবার কোথাও কোথাও ভয়াবহ সন্ত্রাসী রূপ নেই । বড় হাসি পাই ঐসব জোকার গুলোকে দেখে । আবার ভয় ও লাগে ।।