 |
Add caption |
 |
Add caption |
 |
Add caption |

বরিশাল শহরের অদূরে দপদপিয়া খেয়াঘাট। এখানে এক সময় ফেরি চলাচল করত। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর লোক সমাগম কমে ভুতুরে পরিবেশ বিরাজ করে ! কিন্তু না এখন এই ঘাটটি লোকালয় মন্ডিত বলা যায়। দোকানপাট, মসজিদ, মাজার, নারার মেই এমনকি গোয়ালঘর রয়েছে রাস্তার দু-ধারে। নদীর দু-ধারে ঝুকিপূর্ণ ট্রলার চলাচল প্রতিদিনের চিত্র। ঘাটের বাঁয়ে অলিম্পিক সিমেন্ট লিমিটেড ও ডানে অপসোনিন কোং লিমিটেড এর নদী দখলের চিত্র বরিশাল শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিনে গেলেই চোখে পড়বে।নদীর কোল ঘেসে বেড়িবাঁধ দিয়ে নদী ভরাট করছেন,কেউ নদী ভরাট করে নির্মান করেছেন স্থাপনা। দুই শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজারো শ্রমিক জীবনের ঝুকিনিয়ে বিশেষ করে নারী শ্রমিক খেয়া পাড় হলেও নজর নেই কারো।নদী খাল বাচাঁও কমিটি বা সরকারের ভূমি উন্নয়ন বোর্ড এখানে রিতিমত নিরব। তাদের এই নিরবতা ভাঙ্গবে বলে মনে হয় না। খেয়া ঘাটে রয়েছে টোলঘর। খেয়ায় পা দেয়ার আগেই যাত্রিপ্রতি গুনতে হয় পাঁচ টাকা। আসা যাওয়া একই হারে। টোলঘরের তত্ত্বাবধায়করা চলেন নিজস্ব নিয়মে। শহরের কর্মব্যস্ততা শেষে কেউ আসেন এখানে মনে হবে নদীর দু-পার মিলিত হয়েছে যেন একই স্রোতে। নদীর ওপারে দখল প্রক্রিয়া এপারের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। নলছিটি অধিভূক্ত এই এলাকায় ব্রয়লার মুরগীর খাবার (ফিড) উৎপাদন কারখানা গড়ে উঠেছে পরিবেশ দপ্তরের কোন নিয়মে তা বোঝা মুশকিল। ছোট বড় রকমারি স্থাপনা গড়ে উঠেছে কোন নিতিমালা প্লান পরিকল্পনা ছাড়াই। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তারা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের হয়ে কাজ করে নাকি নিজের উন্নয়নে? দপদপিয়ার খেয়াঘাটে না আসলে তা বোঝা যায়না। তাই দিনে দিনে বরিশাল নদীবন্দর ভরাট করে খালে পরিনিত হতে
যাচ্ছে, এভাবে নদীর সৌন্দর্য বিলিন করে গড়ে
উড়তেছে বড় বড় শিল্প কারখানা। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তারা সরকার এর নদীর পাশে খাস
জমি দখল ত্ত অল্প টাকা দিয়ে কূষল করে সরকার কর্মকতাদের কালো চশমা দিয়ে নিজেদের শক্তি
প্রয়োগে ধীরে ধীরে ভরাট দখল করে গড়ে তুলতেছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখন নদী দখল করা বরিশাল
শহরে প্রতিযোগিতা চলছে, নজর নেই সরকারী কর্মকর্তাদের
এবং নদীর কিনার থেকে শুরু করে দখল করে গড়ে
তুলতেছে শিল্প প্রতিষ্ঠান ত্ত ঘর বাড়ি। বাংলাদেশের
অন্যতম সুন্দর রূপসী বাংলা তার একটি অংশ হল নদী সেই আপরূপ সুন্দরর্য কে আমরা যার যার
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নষ্টো করে ফেলি। এদেশের প্ররাকৃতিক সুন্দরর্য নদী নালা ইত্যাদি সরকারী কর্মরতদের নজর না থাকার
কারনে একদল মানুষ এগুলো দখল করে গড়ে তুলতেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান যার কারনে বিলিন
হতে চলছে বরিশাল শহরের ছোট ছোট নদী,নালা
লেখক সুমনদাস
0 মন্তব্যসমূহ