২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলন
এক ভয়াবহ সংকটের রূপ ধারণ করেছে।
বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে, এবং
দেশের কূটনীতি এক অস্থির অবস্থায়
রয়েছে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের
যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত ছিল
শিক্ষার উন্নতি ও বিকাশে, তা
পরিবর্তিত হয়ে গেছে রাজনীতির
প্রতি অযথা আকর্ষণে। তারা
শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিচ্যুত হয়ে
রাজপথে নেমে রাজনীতি করছে।
বিশ্বের নেতারা এ বিষয়ে চিন্তিত, কারণ এ ধরণের ছাত্র আন্দোলন শুধু শিক্ষার ক্ষতি করছে না, বরং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে, এবং একইসাথে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও মনোযোগের অভাব। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই উদাসীনতা একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে, যা তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
শিক্ষার প্রতি
উদাসীনতার ফলে
শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই বা
পাঠক্রমে মনোযোগ
হারিয়ে ফেলছে।
তারা
শিক্ষার মূল
উদ্দেশ্য ভুলে
গিয়ে
অন্যান্য বিষয়,
বিশেষ
করে
রাজনীতি, সামাজিক মিডিয়া বা
অন্যান্য ফাঁকিবাজি কাজে
বেশি
সময়
ব্যয়
করছে।
এর
ফলে
পরীক্ষায় ফলাফল
খারাপ
হচ্ছে
এবং
দীর্ঘমেয়াদে তারা
দক্ষতা
ও
জ্ঞানের দিক
থেকে
পিছিয়ে পড়ছে।
উদাসীন
শিক্ষার্থীরা প্রায়শই শিক্ষার প্রকৃত
মূল্য
এবং
এর
দীর্ঘমেয়াদী সুফল
সম্পর্কে সচেতন
নয়।
তারা
তাৎক্ষণিক বিনোদন
বা
সাময়িক উত্তেজনাকে বেশি
গুরুত্ব দেয়।
শিক্ষার মাধ্যমে যে
জ্ঞান,
দক্ষতা,
এবং
নৈতিক
মূল্যবোধ গড়ে
ওঠে
তা
তারা
উপলব্ধি করতে
পারছে
না,
যার
ফলে
ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলো সীমিত
হয়ে
পড়ছে।
যারা শিক্ষার প্রতি উদাসীন, তারা সৎভাবে অধ্যয়নের পরিবর্তে সহজ পথে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। তারা পরীক্ষায় অনিয়ম বা প্রতারণা করতে পারে, যা শুধু তাদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষতি করে না, বরং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করে ভুল পথে হাঁটতে।
শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য নয়, এটি সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা যদি উদাসীন হয়, তাহলে তারা সমাজে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এর ফলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়।
শিক্ষার্থীদের এমন কিছু কর্মকাণ্ড যা সমাজের স্থিতিশীলতা এবং শান্তি নষ্ট করে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। ছাত্রসমাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গোষ্ঠী হওয়ায় তাদের আচরণ, মনোভাব এবং কর্মকাণ্ড সমাজে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে অতিরিক্ত জড়িত হওয়ার কারণে বিভিন্ন অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে,
শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা বা দাবি পূরণের জন্য বিক্ষোভের পথে যায়। যদিও বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু তা যখন সহিংস আকার ধারণ করে তখন সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, বা পুলিশ ও সাধারণ জনগণের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যা সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করে এবং অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করে।
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মশৃঙ্খলার অভাব
দেখা
দেয়।
ক্লাস
বর্জন,
শিক্ষক
অবমাননা, এবং
পরীক্ষায় অনিয়মের মত
সমস্যা
বেড়ে
যায়।
এর
ফলে
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ
অস্থিতিশীল হয়ে
পড়ে,
যা
শিক্ষার মান
এবং
গুণগত
উন্নয়নের পথে
বড়
বাধা
হয়ে
দাঁড়ায়। এর
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনকে
ব্যাহত
করে।
শিক্ষার্থীরা প্রায়শই নেতিবাচক বা
ভুল
ব্যক্তিদের দ্বারা
প্রভাবিত হয়,
যারা
নিজেদের স্বার্থে তাদের
ব্যবহার করে।
এই
নেতারা
শিক্ষার্থীদের সাময়িক স্বার্থ দেখিয়ে বিভিন্ন অস্থিতিশীল কার্যক্রমে জড়িত
করে,
যা
তাদের
ব্যক্তিগত ও
সামাজিক জীবনে
ক্ষতি
ডেকে
আনে।
এর
ফলে
সমাজে
একটি
অস্থিতিশীল পরিবেশ
সৃষ্টি
হয়,
যা
দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং
শান্তি
বজায়
রাখতে
বাধা
দেয়।
শিক্ষার্থীদের অস্থিরতার কারণে
প্রায়শই রাস্তা
বন্ধ,
ধর্মঘট
বা
বিক্ষোভের কারণে
অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত
হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পণ্য পরিবহন
বিঘ্নিত হয়,
এবং
কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করা
কষ্টকর
হয়ে
পড়ে।
এর
ফলে
দেশের
অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়
এবং
দৈনন্দিন জীবনের
স্বাভাবিক চলাচল
ব্যাহত
হয়।
দেশের
আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে
পারে।
শিক্ষার্থীদের অশান্তি বা
দেশের
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিদেশি
গণমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে প্রচারিত হলে
দেশের
ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্বে
এমন
চিত্র
তৈরি
হয়
যে
দেশটি
সুশাসন
ও
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে
ব্যর্থ
হয়েছে। এতে
পর্যটন,
আন্তর্জাতিক সম্মেলন, এবং
কূটনৈতিক সম্মান
কমে
যায়।
একটি দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অর্থনীতি, এবং সার্বিক স্থিতিশীলতার উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা যদি দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে, তাহলে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান হুমকির মুখে পড়ে। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দেশটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে তার ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লুটপাটের পর সেগুলোতে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, এবং নিরীহ মানুষদের হত্যা করে তাদের দেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির পরেও দেশের সামরিক বাহিনী কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আরও হতাশাজনক হলো, যাদের সম্পদ লুটপাট ও ধ্বংস করা হচ্ছে, তাদেরই সামরিক বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হচ্ছে।
তাই এর প্রভাব বিস্তার যাতে আন্তজাতিক ভাবে না ঘটে সে জন্য বিশ্বনেতাদের এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন একান্ত প্রয়োজন।
0 coment rios:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন