বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হলুদ অটোরিক্সর লাইসেন্স নবায়ন ঘোষণা-নবায়ন না করিলে পুরাতন লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।

 



বরিশাল সিটি কর্পোরেশন একটি অনিয়মতান্ত্রিক এবং অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা নিয়ম। যখনই কোনো প্রয়োজন হয়, তখনই তাদের দায়িত্বের কথা মনে পড়ে। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ধারাবাহিক পরিকল্পনা বা দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেই। বরং তাদের ধ্যানজ্ঞান কেবল বিভিন্ন উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ে সীমাবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, সিটি যানবাহনের লাইসেন্স নবায়ন বা বিভিন্ন কর আদায়ে তারা সক্রিয় থাকলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।


বরিশাল নগরীতে বৈধ হলুদ অটোরিকশার চেয়ে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেশি। অথচ, এই সমস্যার সমাধানে সিটি কর্পোরেশন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বৈধ হলুদ অটোরিকশার চালকদের অভিযোগ, “আমরা যারা লাইসেন্স নবায়ন করেছি, তারা কোনো সুবিধা পাই না। আমাদের সঙ্গে অবৈধ চালকদের কোনো পার্থক্য নেই।”

নিয়ম মেনে লাইসেন্স নবায়ন করেও বৈধ চালকরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রতিবারই সিটি কর্পোরেশন নতুন লাইসেন্স ইস্যু করে এবং পুরাতন লাইসেন্স বাতিল করে। এর ফলে বৈধ চালকদের মধ্যে হতাশা এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তারা প্রশ্ন করেন, “আমরা লাইসেন্স নবায়ন করে কী লাভ, যখন সিটি কর্পোরেশন অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না?”

সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা চেয়ারে বসে শুধু অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল খুঁজে বেড়ান। নাগরিক সেবা উন্নয়নে তাদের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। বরং, বিভিন্ন উপায়ে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ। এ ধরনের আচরণ নাগরিকদের প্রতি তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এই অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন:

  1. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন আলাদা করার জন্য কঠোর তদারকি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।

  2. লাইসেন্স নবায়ন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল করা।

  3. সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের কাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

  4. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং নাগরিক সেবা উন্নয়নে উদ্যোগী হওয়া।

  5. অপ্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের বদলে নাগরিকদের সুবিধা প্রদানের প্রতি মনোযোগী হওয়া।


বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এই অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল এবং নাগরিকবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে জনসাধারণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।





শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.