অালাউদ্দিন চেরাগ এর জন্য ঠিকাদারা হত্যাশায় জীবন কাটাচ্ছে। বরিশাল শহরে বেশি ভাগ ঠিকাদার জীবন অাষাড় মাস। অাষার মাসরএর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় শহরের অলি গলি। বর্ষার শেষে পানি কমে যায় এর পার মাটি শুকিয়ে ঝড়ঝড়ে হয় কোথায় ও দেখা যায় না কাদা পানি। হটাৎ করে এক ঠিকাদার দেখতে পায় খালের পাড়ে একটি নল পাইপ এর মতো জেগে অাছে। চমকে যায় লোকটি, মনের ভিতরে নড়ে উঠে, মনে মনে বলে যদি ভগোবান বা অাল্লাহ এই নলটি গুপ্তধন হয়, তবে অামার জীবন টা ধন্য। অনেক অাশা ভরশা নিয়ে ঠিকাদার লোকটি নলটির কাছে গেল এবং অনেক ক্ষন দারিয়ে অাছে, মানুষ জন চলাচল করছে এরপর একটু সময় ঝিপটি মেরে বসে থাকলো প্রায় দুই ঘন্টা পেরিয়ে যাচ্ছে, একটু পিড়পিড় করে বৃষ্টি শুরু হল, লোকজন এর চলাচল কমে গেল, হুট করে সে নলটি ধরে এমন টান দিলো সেই টানের সাথে সে নিজেও হোছট খেয়ে পড়ে গেল। কিন্তু সে নলটি ছাড়েনি তার হাতের মুঠে শক্ত করে ধরে অাছে। অাসলে সেটা নল নয় ছিনেমার অালাউদ্দিন এর চেরাগ এর মতো লোকটি এখনও তার ভিতরে বুকটা ছটপট করছে হয়তোবা হতেও পারে গুপ্তধন এরপর চুপ করে একটি নিরপ স্থানে নিয়ে গেল। এরপর সেই স্থানে গিয়ে পানি দ্বারা পরিস্কার করার পর একটা ঝাকি দিল, ঝাকি দেবার পর মানুষের মল এর মতো কিছু একটা পরলো, বেশ গন্ধ । মন খারাপ করে রাগ করে ছুরে মারল। ছুরে মারার কারনে ঘষা খাওয়ার কারনে, কালো ধোওয়া বেড় হতে শুরু করল এখন তো লোকটা চমকে উঠল কি ব্যাপার এখন কি হলো। হঠাৎ একটি অাওয়াজ শুনতে পেল অার হা,হা,হ, করে হাসতে লাগলো লোকটি তা দেখে বেহুস হয়ে গেল। অার চেরাগ থেকে জ্বিন টি বের হয়ে বল্লো উঠুন মালিক উঠুন, হুকুম করুন অামায়। লোকটি বলে, তুই অালাউদ্দিন এর চেরাগ, জ্বীন টি বল্লো না, মালিক অামি মোগল সম্রাট এর জ্বীন, তাদের বড় বড় মহল তা, অামি বানিয়ে ছিলাম মালিক। বলুন মালিক অাপনার কি দরকার হুকুম করুন মালিক। অামি একজন ঠিকাদার এই শহরে কাজ করি, তুমি অামার জন্য কি করতে পারবে। জিন বল্লো হুকুম করুন মালিক অাপনি যা, চাইবেন অামি তাই দিতে পারব। বিদেশ থেকে অামার জন্য রাস্তা মেরামত করার জন্য বড় বড় মেশিন এনে দাও দেখি। জ্বিন টি বল্লো হাজির মালিক সব কিছু অাপনার সামনে চোখ মেলে দেখুন মালিক। লোকটি এখন বড় মাপের ঠিকাদার
হয়ে গেল। অার যখন যা প্রায়োজন চেরাগ টি ঘষা মারে তখন হুকুম করার মাত্রই তা, হাজির হয়ে যায়। এর ফলে শহরের সব কাজ তার অধিনে ছাড়া অন্য কেউ অার করতে পারে না। সেই শহরের বাকি ঠিকাদার`রা সবাই এখন হতাশায় ভুগছে অার সবাই তাই বিভিন্ন পীর হুজুর এর কাছে গিয়ে সমস্যা কথা বলে, তেল পড়া, পানি পড়া ইত্যাদি সংগ্রহ করে তা, মালিশ করে দিন কাটাচ্ছে কখন যে তাদের তেলে কাজ হবে সেই সময় অপেক্ষায় দিন গুনছে। প্রতিটি মানুষ হতাশায় ভুগছে, অার প্রতি নিহত মিনতি করছে এই বজ্জাত চেরাগ কবে ধংশ হবে।
0 coment rios:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন